ফাউমি মুরগি বছরে কতটি ডিম দেয়
ফাউমি মুরগি বছরে কতটি ডিম দেয় এবং দেশি মুরগির ডিম কত দিনে ফুটে এই সব মুরগি
সম্পর্কে জানতে হলে আপনি আমাদের সাথেই থাকুন। আমাদের সাথে থাকলে আপনি মুরগি
সম্পর্কে সকল তথ্য গুলো বুজতে পারবেন।
আপনাদের জন্য মুরগির সকল বিষয় সম্পর্কে নিচে কিছু পয়েন্ট যোগ করা হয়েছে। এই মুরগি
সংক্রান্ত সকল বিষয় গুলো জানতে হলে আপনি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো করে মনোযোগ
দিয়ে পড়ুন। আশাকরি তাহলে আপনি মুরগি সম্পর্কে সকল বিষয় গুলো বুজতে পারবেন।
ভূমিকা
মুরগি হল একধরনের গৃহপালিত পাখি, যার মাংস ও ডিম মানুষের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত
হয়। মুরগি বিশ্বের প্রায় সব দেশ গুলোতে রয়েছে।
মুরগি পালন
করা হয় মাংস, ডিম, মোরগ লড়াই এবং পুষ্টির জন্য। মুরগি পালনের উপকারিতা হল
প্রোটিন, শক্তি, শর্করা, আয়রন, সোডিয়াম এবং ভিটামিন সি প্রাপ্তি। মুরগি পালনের
জন্য আধুনিক পদ্ধতি বা খাঁচায় বা আবদ্ধ অবস্থায়
আরও পড়ুনঃ
সাদিও মানের বর্তমান কত টাকা বেতন
মুরগি রাখা হয়। এই পদ্ধতিতে মুরগির মৃত্যুর হার কমে যায়, খাদ্য ব্যবস্থাপনা,
চিকিৎসা ও রোগ নির্ণয় করা সহজ হয়। এছাড়াও মুরগির গ্রোথ ও ওজন বাড়ে। মুরগি
পালনের জন্য আপনি ভালো মানের মোরগ, মুরগি নির্বাচন করতে হবে এবং মুরগির ঘর তৈরি
করতে হবে। মুরগির ঘরের মাপ হল, ১.৫ মিটার (৫ ফুট) লম্বা, ১.২ মিটার (৪ ফুট) চওড়া
এবং ১ মিটার (৩.৫ ফুট) উচ্চতা।
ব্রয়লার মুরগির ডিম উৎপাদন
ব্রয়লার
মুরগি ডিম উৎপাদন করা সম্ভব নয়। ব্রয়লার মুরগি হলো মাংসের জন্য পালিত মুরগি, যা অল্প সময়ে অধিক
ওজন হয়। ব্রয়লার মুরগি হলো এক ধরনের মুরগি যা ব্রয়লার মুরগি পালন করার জন্য
বিশেষ জাত, খাবার, ঘর, পরিচর্যা ও রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা প্রয়োজন। ব্রয়লার
মুরগির মাংস খুব নরম ও সুস্বাদু হয়। এবং এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো অধিক খাবার হজম
করা।
ব্রয়লারের হজম ক্ষমতা বেশি হওয়ার কারণে মাত্র ৪০ - ৫০ দিন বয়স পর ওজন বেশির
কারনে, হাটা চলা করতে পারে না। ব্রয়লার মুরগির ডিম উৎপাদন করতে ৪ থেকে ৫ মাস সময়
লাগে। তাই ব্রয়লার মুরগির ডিম পাওয়া সম্ভব হয় না। অল্প খাবার দিয়ে ব্রয়লার মুরগি
পালন করলে, হয়তো বা ডিম পাওয়া যেতে পারে। তবে সেই ডিমের বাচ্চা ব্রয়লার হবে না।
কারণ ব্রয়লার মুরগি বিভিন্ন উন্নত জাতের ক্রস মুরগি, সেই মুরগির ডিম থেকে ব্রয়লার
মুরগির বাচ্চা পাওয়া যায়। ব্রয়লার মুরগির ডিম উন্নত জাতের ক্রস মুরগি হতে পাওয়া
যায়। আপনি যদি মুরগি সম্পর্কে আরো কিছু জানতে চান, তাহলে পোষ্টের পয়েন্ট গুলো
সম্পূর্ণ পড়ুন।
ফাউমি মুরগি বছরে কতটি ডিম দেয়
ফাউমি মুরগি হল একটি প্রাচীন মিশরীয় মুরগির জাত, যা মূলত ডিম দেয়ার জন্য পালিত
হয়। এরা বেশ রোগ প্রতিরোধী, সক্রিয় ও রোডরানার পাখির মতো দেখতে। এরা নীলাভ কালো
পা, লালচে কানের লতি ও মাথায় একক মাঝারি ঝুঁটি বিশিষ্ট। এরা ছোট আকারের সাদা
রঙের ডিম দেয়, যার গড় ওজন ৩৫-৪০ গ্রাম। এরা সাধারণত বন্য মুরগির সাথে প্রজনন
করে।
একটি মোরগ গড়ে ১.৮ কেজি ও একটি মুরগি ওজন প্রায় ১.৫ কেজি হয়। এরা উষ্ণ
জলবায়ুতে বিশেষভাবে উপযুক্ত। ফাউমি মুরগি একটি ডিম দেয়া মুরগির জাত। ফাউমি
মুরগি সাধারণত পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ মাস বয়সে
ডিম দেয়া শুরু করে। যদিও ফাউমি মুরগি সোনালি মুরগির তুলনায় দেরীতে ডিম পারা শুরু করে তবে,
এরা দীর্ঘদিন একটানা ডিম পারে।
ফাউমি মুরগি বছরে প্রায় ২৫০-২৮০ টি ডিম দিয়ে থাকে। তবে, বয়স দুই বা তিন বছর হলে
ডিমে তা দেয়ার প্রবনতা দেখা দিতে পারে এদের ডিম হিটিংয়ের জন্য ইনকুবেশন দরকার
হয়ে থাকে। দেশীয় যেকোন জাতের মুরগীর তুলনায় ফাউমি
মুরগি ভালো ডিম পাড়ে তবে, এই সংখ্যা মুরগির প্রজনন ক্ষমতা, খাদ্য ও পরিবেশের উপর নির্ভর
করে।
সুতরাং, এটি বিভিন্ন পরিস্থিতিতে পরিবর্তন হতে পারে। এই ফাউমি মুরগি একটি কঠোর
পরিশ্রমী এবং ডিমের জন্য সেরা জাতের মুরগি। ফাউমি মুরগির ডিমের আকার তুলনামুলক
ছোট, কিন্তু দেশীয় যেকোন জাতের মুরগীর তুলনায় ফাউমি মুরগি ভালো ডিম পাড়ে।
টাইগার মুরগি বছরে কতটি ডিম দেয়
টাইগার মুরগি হল এক প্রকারের হাইব্রিড মুরগি, যা দেশি সোনালী মুরগির সাথে দ্রুত
বড় হওয়া জাতের মুরগি হয়ে থাকে। এই মুরগিগুলো কে ক্রস করে তৈরি করা হয়েছে। এই
মুরগির বৃদ্ধির হার তুলনামুলক বেশি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো। এই মুরগি
পালন করে অনেক লাভবান হওয়া যায়। আপনি যদি টাইগার মুরগি পালন করতে চান।
তাহলে আপনাকে কিছু বিষয়ের উপর
খেয়াল রাখতে হবে। যেমন, বাচ্চার দাম, খাবার তালিকা, পালন পদ্ধতি, ব্যবস্থাপনা, হুজুগের
সতর্কতা, শীতের সময়ের বিশেষ যত্ন ইত্যাদি। এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আরও বিস্তারিত
জানতে চাইলে আপনি নিচের পয়েন্ট গুলো ভালো ভাবে পড়ুন। টাইগার মুরগি মূলত
১৮ সপ্তাহ বা সাড়ে চার মাস বয়স থেকে ডিম পাড়া শুরু করে। এই মুরগি বছরে ১৭০ থেকে
২০০ টি ডিম দেয়। টাইগার মুরগী মূলত দুই থেকে আড়াই বছর ভালোভাবে ডিম পাড়ে।
এরপর ডিম দেয়ার হার কমে যায়।
দেশি মুরগির ডিম কত দিনে ফুটে
দেশি মুরগি
হল বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে প্রচলিত এক ধরনের মুরগি। এই মুরগির মাংস ও ডিম
অন্যান্য মুরগির তুলনায় বেশি স্বাদযুক্ত এবং পুষ্টিকর। দেশি মুরগি পালন করে
বাড়তি আয় করা যায়।
দেশি মুরগি
পালনের জন্য আধুনিক পদ্ধতি ও প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। দেশি মুরগি সাধারণত
পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ মাস বয়সে ডিম দেওয়া শুরু করে।
আরও পড়ুনঃ
আঙ্গুর ফল খাওয়ার উপকারীতা কি
তবে আপনি যদি ভালো মানের খাদ্য দেন তাহলে এর আগেও ডিম দিতে পারে। উন্নত জাতের
দেশি মুরগি একাধারে ২ থেকে ২.৫ বছর ডিম পারে। এরপর ক্রমান্বয়ে ডিম দেয়ার হার
কমতে থাকে। তবে ডিম ফুটানোর সময় নির্ভর করে মুলত ডিমের পরিবেশ ও তাপমাত্রা উপর।
দেশি মুরগির ডিম ফুটতে প্রায় ২১ দিন লাগে।
এটি একটি সাধারণ মান, যা মুরগির জাত, পরিবেশ, খাদ্য ও স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর
করে। ডিম ফুটানোর জন্য মুরগির ডিমের উপর বসে থাকে। এবং তার শরীরের তাপমাত্রা
দিয়ে ডিমকে উষ্ণ রাখে এই প্রক্রিয়াকে বলা হয়ে থাকে ব্রুডিং।
শেষ কথা
আপনাদের সকলের কাছে যদি আমার পোষ্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে পোষ্টটি আপনাদের
বন্ধু-বান্ধবী সকলের মাঝে শেয়ার করে দিন। আর নিয়মিত আমার কাছে থেকে পোষ্ট
পাওয়ার জন্য আমার ওয়েবসােইটটি ফলো করে রাখুন। নিয়মিত নতুন নতুন আপডেট পেতে
ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। পোষ্টটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url