১০০ লেয়ার মুরগি পালন লাভ লস

১০০ লেয়ার মুরগি পালন লাভ লস ও দেশি মুরগি পালনে লাভ ক্ষতি কেমন হতে পারে চলুন জেনে নি।মুরগি সম্পর্কে সকল ধরনের নতুন নতুন তথ্য পেতে হলে আমাদের সাথেই থাকুন তাহলে আপনি সব কিছু বুঝতে পারবেন।
১০০ লেয়ার মুরগি পালন লাভ লস
এই পোষ্টের সাথে মুরগি সম্পর্কে নিচে কিছু পয়েন্ট যোগ করা হয়েছে। সে পয়েন্ট গুলো যদি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েন আশাকারি তাহলে আপনি মুরগি সম্পর্কে সকল বিষয় গুলো বুঝতে পারবেন।

ভূমিকা

মুরগি হল এক ধরণের গৃহপালিত পাখি, যার মাংস ও ডিম মানুষের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। মুরগির বিজ্ঞানী নাম হল গ্যালাস গ্যালাস ডোমেস্টিকাস। মুরগি বন্য মুরগির সঙ্গে সম্পর্কিত, যা দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বনে পাওয়া যায়। মুরগির মানুষের জীবনে অনেক ধরনের উপকারিতা রয়েছে। মুরগি মানুষের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়।


মুরগির মাংস এবং ডিম উচ্চ পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ যুক্ত হয়ে থাকে। এই উপাদানগুলো মানুষের শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। মুরগি পালন মানুষের আয়ের উৎস হিসেবে কাজ করে। মুরগি পালন করে মানুষ তাদের ডিম ও মাংস বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারে।

এছাড়াও, মুরগির পালক বা খোয়াড় কৃষি কাজে সার হিসেবে ব্যবহার করা যায়।মুরগি পালন মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে সাহায্য করে। মুরগি পালন করে মানুষ তাদের সময় ও মন ভালো করে নিতে পারে। মুরগি পালন করে মানুষ তাদের দায়িত্ব ও দক্ষতা বাড়াতে পারে।

১০০ লেয়ার মুরগি পালন লাভ লস

দেশি মুরগি পালন করা খুব সহজ এবং লাভজনক হতে পারে। মুরগির বিভিন্ন জাত রয়েছে, যেমন ব্রয়লার, সোনালি, আসিল, রোড আইল্যান্ড রেড, হোয়াইট লেগহর্ন ইত্যাদি। এই জাতগুলোর মধ্যে কিছু ডিম উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়, কিছু মাংস উৎপাদনে ব্যবহৃত হয় এবং কিছু দুটোই করে। মুরগির জাতের উপর নির্ভর করে তাদের রঙ, আকার, ওজন,

ডিম পাড়ার সময়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ইত্যাদি পার্থক্য রয়েছে। ১০০ লেয়ার মুরগি পালনে লাভ লস নির্ভর করে বিভিন্ন কারণে, যেমন মুরগির প্রজাতি, খাদ্য ব্যবস্থাপনা, রোগ প্রতিরোধ, বাজারের চাহিদা এবং অন্যান্য বিষয়গুলি উপর। তবে, কিছু সাধারণ তথ্য নিম্নরূপ:

  • ১০০ লেয়ার মুরগি পালনের জন্য প্রথম খরচ হতে পারে প্রায় ৪০ হাজার টাকা।
  • মুরগির ঘর তৈরি করার খরচ হতে পারে প্রায় ২০ হাজার টাকা।
  • খাদ্য এবং ওষুধের খরচ হতে পারে প্রায় ১৪০০ টাকা।
  • ভিটামিন, ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য ওষুধের খরচ হতে পারে প্রায় ২০০০ টাকা।
  • ১০০ লেয়ার মুরগি পালনের জন্য অবশ্যই ১০০ স্কয়ার ফিট জায়গা থাকতে হবে তা না হলে মুরগির অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে এবং মুরগি বৃদ্ধিতে বাধা প্রদান হতে পারে।
  • ১০০ লেয়ার মুরগি পালনের জন্য সঠিক মত খাবার প্রদান করতে হবে।
  • সঠিক সময়ে এন্টিবায়োটিক এবং অন্যান্য রোগের জন্য ওষুধ করতে হবে তাহলেই সঠিকভাবে পালন করা সম্ভব।
  • ১০০ লেয়ার মুরগি পালন করার পরে লাভ হবে প্রায় ১৫ হাজার টাকা থেকে ১৬০০০ টাকারও বেশি।
তবে, এই তথ্যগুলি সাধারণ এবং পরিস্থিতিগত পরিবর্তনের সাথে পরিবর্তিত হতে পারে। কোন মুরগি বা মুরগির খাদ্যের দাম সময় সাপেক্ষে কম বা বেশি হতে পারে। সঠিক পরামর্শের জন্য আপনার স্থানীয় কৃষি বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।

কোন মুরগি পালনে লাভ বেশি

দেশি মুরগি পালন করলে আপনি বেশি লাভ উপার্জন করতে পারেন। দেশি মুরগির খাবার খরচ কম এবং দেশি মুরগির বাচ্চা খুব সহজে সংগ্রহ করা যায়। এবং দেশি মুরগির দাম, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, বিদেশি মুরগির তুলনায় কম এবং ভালো। দেশি মুরগি পালনের জন্য আধুনিক পদ্ধতি ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা প্রয়োজন হয়। দেশি মুরগির জন্য খাবার প্রস্তুত ও তৈরি


করতে নিজেই পারবেন। দেশি মুরগির জন্য বাজারজাত খাদ্য কিনতে হবে না। দেশি মুরগির জন্য আপনাকে চাউল, খুদ, ভাত, গমের ভুষি এবং ধান তার সঙ্গে একটু করে ফিড খেতে দিতে হবে। এই খাবারগুলো মুরগির দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী ভূমিকা পালন করবে। দেশি মুরগি পালনের পদ্ধতি সম্পর্কে আরও জানতে চাইলে নিচের পয়েন্ট গুলো পড়ুন।

কোন মুরগি পালনে লাভ বেশি ২০২৪

দেশি মুরগি পালন করা খুব সহজ এবং লাভজনক হতে পারে। দেশি মুরগি অনেক রকম মুরগির মধ্যে ভিন্ন ও ভালো হয়ে থাকে। কারণ এসব মুরগির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অন্যান্য মুরগির চেয়ে অনেক বেশি হয়ে থাকে। বিদেশী মুরগির তুলনায় এদের উৎপাদন ক্ষমতা কম কিন্তু এদের চাহিদা অনেক বেশি। এরা খাবার কম খায় এবং জায়গা অনেক কম লাগে তাই এদের উৎপাদন খরচ ও অনেক কম।

এদের মাংস এবং ডিমের দাম বিদেশি মুরগির চেয়ে বেশি থাকে। দেশি মুরগী প্রতি পালন করে বাড়তি আয় করতে পারে। দেশি মুরগি পালন করার জন্য আপনাকে একটি খামার তৈরি করতে হবে। সেখানে মুরগির জন্য স্থান, খাবার ও পানি সম্পর্কিত সমস্ত সুবিধা থাকবে। দেশি মুরগি পালন করার জন্য আপনি দেশি মুরগির উন্নয়ন করা প্রয়োজন।

আপনি দেশি মুরগি পালন করতে পারেন একটি খামারে বা আপনার বাড়ির পাশে একটি ছোট খামারে। দেশি মুরগি পালন করার জন্য আপনাকে দেশি মুরগির উন্নয়ন করতে হবে। সাম্প্রতিক বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট দেশি মুরগি উৎপাদনের উন্নত কৌশল ও প্রযুক্তিটি উদ্ভাবন করেছে।

দেশি মুরগি পালনে লাভ ক্ষতি


দেশি মুরগি পালনে লাভ ক্ষতি নির্ভর করে বিভিন্ন উপাদানের উপর, যেমন পালন পদ্ধতি, খাদ্য ব্যবস্থাপনা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, বাজার চাহিদা ইত্যাদির উপর নির্ভর করে। দেশি মুরগি পালন একটি লাভজনক ও সহজ ব্যবসা হতে পারে, যদি আপনি সঠিক পদ্ধতি ও ব্যবস্থাপনা অনুসরণ করেন। দেশি মুরগির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সবচেয়ে ভালো, খাদ্য খরচ কম, বাজার দর উচ্চ

এবং সারা বছর ডিম ও মাংস উৎপাদন করে। তবে দেশি মুরগি পালনে কিছু ক্ষতি ও হতে পারে, যেমন- মুরগির মৃত্যুহার, রোগাক্রান্ততা, উৎপাদন ক্ষমতার কমতি, বাজার সংকট, প্রতিযোগিতা ইত্যাদি। এই ক্ষতি কমাতে হলে আপনাকে নিম্নলিখিত যে কাজগুলি করতে হবে সে গুলো হলো-

  • ভালো মানের ও সুস্থ মুরগি নির্বাচন করতে হবে।
  • সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে উন্নত জাতের দেশি মুরগি সংগ্রহ করা যেতে পারে।
  • মুরগির জন্য পর্যাপ্ত উচ্চতার ও আলো-বাতাসের সুবিধা সহ একটি সুন্দর ও পরিষ্কার ঘর তৈরি করতে হবে।
  • ঘরের মাপ ও জায়গার পরিমাণ মুরগির সংখ্যা ও বয়সের উপর নির্ভর করবে।
  • মুরগির জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য, পানি, ভিটামিন, মিনারেল ও ঔষধ ব্যবস্থাপনা করতে হবে।
  • মুরগির খাদ্য হতে হবে উচ্চ গুণমানের ও পুষ্টিকর।
  • মুরগির রোগ প্রতিরোধ করতে হবে নিয়মিত চিকিৎসা, টিকা, ডিউর্মিং ও হাইজিন পালন করতে হবে। রোগের লক্ষণ দেখা দিলে তাৎক্ষণিক প্রতিকার নেওয়া প্রয়োজন।
  • মুরগির বাজার চাহিদা ও দর নিরীক্ষণ করে সঠিক সময়ে বিক্রি করতে হবে।
  • বাজার সংকটের সময় মুরগি সংরক্ষণ করতে হবে।
  • দেশি মুরগির বাজার চাহিদা সারা বছরই ভালো থাকে।
ক্ষতি সাধারণত নিম্নরূপ হতে পারে-
  • দেশি মুরগির উৎপাদন ক্ষমতা বিদেশি মুরগির তুলনায় কম।
  • সনাতন পদ্ধতিতে মুরগি পালন করলে মুরগির উৎপাদন চক্রে বেশি সময় লাগে, কম ডিম পাড়ে, কম বাচ্চা হয়, বেশি রোগ দেখা দেয়, মুরগি ও বাচ্চা মারা যায়।
তবে, আধুনিক পদ্ধতিতে দেশি মুরগি পালন করা হলে এই সমস্যাগুলো অনেকটা মোকাবেলা করা যায়। এছাড়াও, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট দেশি মুরগি উৎপাদনের উন্নত কৌশল ও প্রযুক্তিটি উদ্ভাবন করেছে।

দেশি মুরগি কত দিনে ডিম দেয়

দেশি মুরগি কত দিনে ডিম দেয় তা জাতভেদে বিভিন্ন জাতের মুরগি বিভিন্ন সময়ে ডিম দেয়। সাধারণত দেশি মুরগি পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ মাস বয়সে প্রথম ডিম দেওয়া শুরু করে। তবে ভালো মানের খাদ্য দিলে এর আগেও ডিম দিতে পারে। উন্নত জাতের দেশি মুরগি একাধারে ২ থেকে ২.৫ বছর ডিম পারে। এরপর ক্রমান্বয়ে ডিম দেয়ার হার কমতে থাকে।


দেশি মুরগি বছরে ১৫০ থেকে ১৮০ টি পর্যন্ত ডিম পেড়ে থাকে। আর অন্য জাতের মুরগি গুলো ডিম দেয় সোনালি মুরগি পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ মাস বয়সে ডিম দেওয়া শুরু করে এবং বছরে ১৫০ থেকে ২০০ টির বেশি ডিম পারে। বয়লার মুরগি মাংসের জন্য পালন করা হয় এবং ডিম দেয় না। প্যারেস 

মুরগি সাত থেকে আট মাস বয়সে ডিম দেওয়া শুরু করে এবং বছরে ২০০ থেকে ২৫০ টি ডিম পারে। কক মুরগি সাধারণত ডিম দেয় না কিন্তু কিছু জাতের কক মুরগি বছরে ২০ থেকে ৪০ টি ডিম পারে।

শেষ কথা

আপনাদের সকলের কাছে যদি আমার পোষ্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে পোষ্টটি আপনাদের বন্ধু-বান্ধবী সকলের মাঝে শেয়ার করে দিন। আর নিয়মিত আমার কাছে থেকে পোষ্ট পাওয়ার জন্য আমার ওয়েবসােইটটি ফলো করে রাখুন। নিয়মিত নতুন নতুন আপডেট পেতে ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। পোষ্টটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url