বারো মাস কোন মাটিতে আম চাষ ভালো হয়
বারো মাস কোন মাটিতে আম চাষ ভালো হয় এবং বাংলাদেশের কোন জেলায় সবচেয়ে বেশি আম উৎপাদন করা হয় এই সম্পর্কে চলুন দেখে নেওয়া জাক। আম ফলটা সকলের পছন্দ আম খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি এই ফলের উপকার ও অনেক বেশি আমে আছে অনেক পরিমাণে পুষ্টি।
এই পোষ্টে কিছু পয়েন্ট যোগ করা হয়েছে আপনারা যদি পয়েন্ট গুলো প্রথম থেকে শেষ
পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পরেন। তাহলে আপনি সকল প্রশ্নের উত্তর গুলো পবেন। আমার
বিশ্বাস আপনি যে ধরনের প্রশ্নের উত্তর খুজতে এসেছেন আপনি সে গুলো পাবেন।
ভূমিকা
আমি রয়েছি বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি ও ভিটামিন। আমি বেশি পরিমাণে পুষ্টি ও ভিটামিন
থাকায় শরীরের বিভিন্ন রোগ নিরাময় করার কাজের সহায়তা করে থাকে। মানুষের শরীরের
বিভিন্ন ভিটামিন ও চাহিদা পূরণের জন্য কাজ করে থাকে। আম ফল মানুষের শরীরের
সুন্দরতা রক্ষা করার জন্য কঠিন অবদান রাখে।
বাংলাদেশের কোন জেলায় সবচেয়ে বেশি আম উৎপাদন করা হয়
বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি দুইটি জেলায় আম উৎপাদন করে থাকে। সে দুটি জেলা
হলো চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ। প্রতি বছর এই দুইটি জেলা থেকে অনেক আম
উৎপাদন কেরে। ধরা যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ এ প্রতি বছর প্রায় ৪ লক্ষ ২৫
হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয়। আর নওগাঁয় প্রায় প্রতি বছর ধরা যায়
আরও পড়ুনঃ
কোন ফ্রিজে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বেশি
৩ লক্ষ ৭৫ হাজার ৫৩৫ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয়। কিন্তু
বর্তমানে নওগাঁতে আম বাগানগুলো নতুন হওয়ায় এ জেলাতে আম এর ফসল ও বেশি হচ্ছে ।
আম চাষের দিক থেকে আয়তনে দ্বিতীয় নম্বর হলেও এখন আম উৎপাদনের দিক দিয়ে প্রথম
স্থান অধিকার করেছে এই নওগাঁ জেলা।
আমের রাজা কোন আম কে বলা হয়
বাংলাদেশের পশ্চিমবঙ্গের একটি আম আছে যাকে সকলে আমের রাজা বলে থাকে। ওই আমটি
রাজশাহী,সাতক্ষীরা, মেহেরপুর, চাপাইনবাবগঞ্জ এ হয়ে থাকে। এই আম এ কোনো আশ
থাকেনা এবং এই আমের ভিতরে অনেকটা হলুদ হয়ে থাকে। খেতে পৃথিবীর অন্যান্য আমের
চাইতে অনেক ভিন্ন এই আমের নাম হচ্ছে হিমসাগর। বাংলাদেশের মধ্যে এই হিমসাগর
আম কে আমের রাজা বলা হয়। এর সাথে সাথে আরেকটি আম কেউ সকলে আমের রাজা বলে। এই
আমটি বাংলাদেশের পশ্চিমবঙ্গের অনেক জায়গায় হয়ে থাকে। এই আমটির নাম হলো ল্যাংড়া আম। এই আমটি ভিতর হলুদ ও কমলা রংয়ের হয়ে থাকে আমটি খেতে
অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে। এই ল্যাংড়া আমকেউ আমের রাজা বলা হয়।
বাংলাদেশে আমের জাত কত গুলো আছে
আমাদের এই বাংলাদেশে কয়েকশ চেয়েও বেশি অনেক গুলো আমের জাত আছে সেই
আম গুলো হলো আসনে, ল্যাংড়া, ফজলি, আম রুপালি, হাড়ি ভাংঙ্গা, গুঠি,
খিরসাপাত, খুদি খিরসা, গোপাল ভোগ, কাঠমিষ্টি, লখনা,লখনা, অরুনা,
সুবর্নরেখা,কালীভোগ, আলফানসো, কারাবাউ, কেন্ট, ক্রিফলা, আম্রপালি, আদাইরা,
ছাতাপরা, বারোমাসি,
আরও পড়ুনঃ
সাদিও মানের বর্তমান বেতন কত?
পাহুতান, গোপাল খাস, সূর্যপূরী, নিলাম্বরী, তোতাপুরী,
মিশ্রিদানা,মল্লিকা,সেন্দর, পটলি, কলম ইত্যাদি। এই আম গুলোর মধ্যেে অনেক আম আছে
খাটা এবং অনেক আম আছে খেতে অনেক মিষ্টি ।কিছুু আম অল্প মিষ্টি আর কিছু আম আছে
খেতে খাটাও না মিষ্টিও না । এই সব আম ছাড়াও আরো অনেক আমের জাত আছে।
বারো মাস কোন মাটিতে আম চাষ ভালো হয়
বাংলাদেশে প্রায় অনেক ধরনের ফল আছে । তার মধ্যে আম কে আমের রাজা বলা হয়। এই
ফলটি খেতে অনেক ভালো ও সুস্বাদু হয়ে থাকে। আম চাষের জন্য এই ফলটি উর্বর
দোআঁশ, সুনিষ্কাশিত মাটিতে চাষ করার জন্য উত্তম। চাষ করার জন্য জায়গাটা মাঝারি
ও উঁচু নির্বাচন করতে হয়।
আরও পড়ুনঃ
কি খাওয়ালে কবুতর তারাতাড়ি ডিম দেয়
গাছ লাগানোর আগে জমিকে সমতল ও আগাছা মুক্ত করতে হবে। এই আম চাষ করতে হলে গাছ
রোপন বা লাগানোর সময় প্রায় ৯-১০ ফিট দুরে লাগাতে হবে,তাহলে গাছ এ ফলন ও বেশি
হবে।প্রয়োজন মত জমিতে সার কীটনাশক দিতে হবে।
আমের কি ধরনের রোগ হয়ে থাকে
আমাদের এই বাংলাদেশে চাষ যোগ্য ফলের মধ্যে একটি ফল হলো আম। এই ফলটি খেতে অনেক
সুস্বাদু হলেও শরীল এর জন্য পুষ্টিমান। এই কারণে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায়
আমের চাষাবাদও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই ফলের গাছের পাতাই ও আমের গায়ে একটি রোগ হয়ে
থাকে। চলুন দেখে নি আমের কি ধরনের রোগ হয়ে থাকে।
- বড় অবস্থায় আম ফল ফেটে যাওয়া।
- আম ফল ঝড়ে যাওয়া।
- আমের গামোসিস রোগ বা আমের গায়ে আঠা ঝড়া।
- এমনিতে আম ফল ঝড়ে যাওয়া।
- আম ফলের বোটা পঁচা রোগ হয়।
- আমের আগা কালো ধরণের রোগ।
- আম ফলের শুটি মোল্ড রোগ ।
- আম ফলে স্ক্যাব রোগ বা আমের দাদ রোগ।
- আমের লাল মরিচা রোগ।
- আম ফলে এনথ্রকনোজ রোগও হয়ে থকে।
ছোট অবস্থায় আমের গায়ের দাগটি বোঝা যায়। কিন্তু্ আমটি বড় হলে তা বোঝা অনেক
মুসকিল। এই আমটি দিন দিন যত বড় হয় ক্রমশ আকারে আমের রোগটিও তত বড় হয়। আমটিতে
পাকা অবস্থায় রোগটি হলে আমের যে দিকে রেগটি হয়ে থাকে সে দিক আমের নষ্ট হয়ে যায়।
এই আমের রোগটি দেখা যায় যখন ঘন ঘন বৃষ্টি হয়ে থাকে।
লেখকের মন্তব্য
আপনাদের সকলের কাছে যদি আমার পোষ্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে পোষ্টটি আপনাদের
বন্ধু-বান্ধবী সকলের মাঝে শেয়ার করে দিন। আর নিয়মিত আমার কাছে থেকে পোষ্ট
পাওয়ার জন্য আমার ওয়েবসােইটটি ফলো করে রাখুন। নিয়মিত নতুন নতুন আপডেট পেতে
ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।পোষ্টটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url