ঘন ঘন সর্দি লাগা কিসের লক্ষণ
চলুন জেনে নি ঘন ঘন সর্দি লাগা কিসের লক্ষণ এবং নাকের সর্দি কমানোর উপায় গুলো সম্পর্কে। আপনি যদি নাক থেকে সরদি পরা বন্ধ করতে চান সর্দি কমানোর উপায় গুলো কি কি এইসব সম্পর্কে জানতে চাইলে। আপনি আমদের সাথেই থকুন তাহলে সব বুঝতে পারবেন।
শীতের সময় কম বেশি সর্দি ছোট বড় সবার হয়ে থাকে। ঘন ঘন সর্দি লাগা কিসের লক্ষণ এইসব সম্পর্কে আপনারা জানতে এই পোষ্টের সাথে নিচে কিছু পয়েন্ট যোগ করা হয়েছে। আপনি যদি পয়েন্ট গুলো প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন আশাকরি তাহলে আপনি পোষ্টের সকল বিষয় সম্পর্কে বুজতে পারবেন।
ভূমিকা
মানুষের বছরে ১০ থেকে ১২ বার সর্দি হওয়া কমন ব্যাপার এটা অনেকেরই হয়ে থাকে। সর্দি হলো এক ধররেন ভাইরাস সংক্রান্ত রোগ যা মানুষের শরিরের নাকের ভিতর দিয়ে শ্বাসপথের নাকে আক্রমণ করে রোগে। এছাড়া এই সর্দি রোগের কারণে মানুষের গলবিল অস্থিরোঙ্গ স্বর যন্ত্রতেও আক্রমন হয়ে থাকে।
আরও পড়ুনঃ বারো মাস কোন মাটিতে আম চাষ ভালো হয়
এই ভাইরাস রোগ মানুষের শরিরে আক্রমন করার ২ দিন পরে বা তার আগেই এই রোগটির লক্ষণ বুঝতে পাড়া যায়।
এলার্জি সর্দি থেকে মুক্তির উপায়
বর্তমানে এই সর্দি এলার্জিটি কোনো মারাত্নক ধরনের রোগ নয় তবে এই এলার্জিটি কোনে কাজ কাজ করার সময় অনেক ব্যঘাত ঘটায়। সর্দি এলার্জি হলে স্যালইন বা ০.৯ পরশেন শতাংশ সোডিয়াম ক্লোরইড নাকের ভিতরে ড্রপ দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ আঙ্গুর ফল খাওয়ার উপকারীতা
বিভিন্ন ঔষুধের ফার্মেসিতে এইগুলো হ্যাপিসল, স্যালোরাইড ইডি, সলো, এন সল সহ অনেক নামে পরিচিত থাকে। এগুলো নাকে থাকা এলার্জি খুব তারা তারি পরিষ্কার করতে সাহায্যে করে থাকে।
- পুরোনো বই পত্র খবরের কাগজ, রাস্তার ধুলা, এগুলো থেকে দুরে থাকতে হবে।
- রাস্তায় চলার সময় গাড়ির ধোয়া, সিগারেটের ধোয়া থেকে দুরে থাকতে হবে।
- বিভিন্ন ধরনের খাবার থেকে এলর্জি হয়ে থাকে ইলিশ মাছ, চিংড়ি মাছ, বেগুন এইসব খাওয়া থেকে দুরে থাকতে হবে।
- শীতকালের শুষ্ক আবহাওয়ার বাতাস থেকে দুরে থাকতে হবে।
- এলার্জি থেকে মুক্তির শুধু মাত্র উপায় যার এলার্জি আছে তাকে বুঝতে হবে যে তার কোন কারণে এলার্জি হয় এই সব জিনিসকে এড়িয়ে চলতে হবে।
ঘন ঘন সর্দি লাগা কিসের লক্ষণ
ঘন ঘন সর্দি লাগা কিসের লক্ষণ শরির অসুস্থ হয় ভিটামিন এর ঘাটতি শরিরে থাকলে ঘন ঘন শরির অসুস্থ হয়ে থাকে। শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেমকে শক্তিশালী করার জন্য ভিটামিন ডি শরীরের জন্য অনেক প্রয়োজন। শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি থাকলে যে কোন ভাইরাস শরীরকে খুব সহজে আক্রমণ করে থাকে।
আরও পড়ুনঃ উদ্ভিদের খাদ্য তৈরিতে কি কি প্রয়োজন হয়
এসব কাজগুলোর কারণে ঘন ঘন মানুষের শরীরে সর্দি দেখা দিয়ে থাকে। অন্যদিকে বলা যায় যে মানুষ যখন ডিপ্রেশন থাকে তখন মানুষের শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব থাকে। মানুষের শরীরের স্বাস্থ্যের সাথে ভিটামিন ডি যুক্ত থাকে। মানুষের শরীরে যদি ভিটামিন ডি কম থাকে তাহলে মানুষের শরীরে ডিপ্রেশন চিন্তাভাবনা বেশি দেখা দেয়।
নাকের সর্দি কমানোর উপায়
নাকের সর্দি কমানোর জন্য যেসব কাজগুলো করতে হবে সেগুলো হলো-
- রসুনকে গরম তেলে ভেজে খেতে হবে।
- নাকের সর্দির জন্য আদা ও তেজপাতা বেশ কার্যক্রম ভূমিকা পালন করে থাকে।
- লেবু খেলে নাক বন্ধ হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
- সর্দি নাকে আটকে না রেখে ঝেড়ে ফেলতে হবে।
- সুপ ও গরম চা খেতে হবে।
- গরম পানিতে নখে ভাব দিতে হবে।
- পানিকে কুসুম গরম করে কোরতে হবে।
নাকের পানি বন্ধ করার উপায়
যখন আবহাওয়া পরিবর্তন হয় তখন বেশির ভাগই সময় অনেকের নাক দিয়ে পানি পড়তে থাকে। এই নাক দিয়ে পানি পড়া রোগটি হয় শীতকালের সময়। অনেকের আবার না খেয়ে ভিতরে ধুলাবালি যাওয়ার কারণে এলার্জির সাথে সাথে নাক দিয়ে পানি পড়ে। এই নাক দিয়ে পানি পড়া রোগটি হলে বেশিরভাগ সময় শরীরের অস্বস্তিকর কাজ করে।
এই অস্বস্তিকর কাজ করলে খেয়ে নিতে হবে আর নাকের পানি পড়া থেকে বাঁচার জন্য মধু, রসুন ও পেয়াজ তেলে গরম করে, গরম পানিতে গ্রিন টি এবং ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেতে হবে। তাহলে নাক থেকে পানি পরা আসতে আসতে বন্ধ হয়ে যাবে।
শেষ কথা
আপনাদের সকলের কাছে যদি আমার পোষ্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে পোষ্টটি আপনাদের বন্ধু-বান্ধবী সকলের মাঝে শেয়ার করে দিন। আর নিয়মিত আমার কাছে থেকে পোষ্ট পাওয়ার জন্য আমার ওয়েবসােইটটি ফলো করে রাখুন। নিয়মিত নতুন নতুন আপডেট পেতে ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। পোষ্টটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url