কবুতরকে রসুন খাওয়ালে কি হয়
কবুতর সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান চলুন কবুতর সম্পর্কে সঠিক তথ্য গুলো যেনে নি। এই পোষ্টের নিচের দিকে কবুতর সম্পর্কে কিছু পয়েন্ট যোগ করা হয়েছে আপনি যদি সেই পয়েন্ট গুলো মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আপনি কবুতর সম্পর্কে সকল বিষয় বুঝতে পারবেন।
ভূমিকা
কতুতর এমন একটি পাখি যা পালনও করা হয় অন্যদিকে খাওয়া হয়। কবুতর একটি গৃহপালিত পাখি কবুতর কে অনেক ভাবে পোষ মানানো যায়। কবুতর লালন পালন করার জন্য খাচাতে পালন করা যায়। কবুতর কে বাড়িতে এটি ঘর করে লালন পালন করা যায়। বাড়ির যে কোন এক কোনাতে অল্প কিছু জায়গা নিয়ে জাল বা মশারি দিয়ে কবুতর লালন পালন করা যায়।
অনেক সময় দেখা যায় যে কবুতর লালন পালন করার জন্য কবুতরের পাখা বা পড় ছোট করে কেটে কবুতর পালন করা হয়। বিভিন্ন সহর অঞ্চলে দেখা যায় কবুতর কে ছাদের উপরে এক কোনায় ছোট ঘর করে কবুতর পোষ মানানো হয়। আবার অনেকে কবুতর কে খাচাতে রেখে কবুতর লালন পালন করে।
বিভিন্ন গ্রামের দিকে টিন তোলা বাড়িতে মাটির হাঁড়িতে করে টিনের কানধাতে কানধাতে করে মাটির হাঁড়ি বেধে রাখে। তখন সন্ধা হলে কবুতর গুলো ওই হাঁড়িগুলোর মধ্যে এসে বসে পড়ে। এই ভাবে থাকলে থাকলে কবুতর গুলো সাপ ও বড় পোকা মাকড় থেকে রক্ষা পায় ।
কবুতরকে রসুন খাওয়ালে কি হয়
চলুন আমরা জেনে নি কবুতরকে রসুন খাওয়ালে কি কি উপকার হয় কবুতরের। রসূলে থাকে অনেক ধরনের ভিটামিন, ফসফরাস, সেলেনিয়াম, ক্যালসিয়াম, আমিষ, জিং ইত্যাদি ধরনের ভিটামিন থাকায় কবুতর কে রসুন খাওয়ালে কবুতর অনেক সুস্থ থাকে। অতএব কবুতরকে নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী রসুন খাওয়ালে কবুতরের শরিরে উক্ত পুষ্ট উপাদানের অভাব পূরণ হবে।
যে কারণে কবুতর সে উপাদান জনিত রোগ থেকে রক্ষা পাবে। এছাড়াও রসনে কবুতরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং রক্তের জন্য কোলেস্টেরলের মাধ্যমে কবুতরের রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রন করে। রসুন খেলে কবুতরের হজম ক্লিয়ার করতে সহায়তা করে। রসুন খেলে কবুতরের শরীরে কৃমিনাশক হিসেবে কাজ করে থাকে।কবুতরের শরীরে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন
আরও পড়ুনঃ কোন বিষয়ে ডিপ্লমা করলে ভালো হবে
এর অভাব পূরণ করে ডিম উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কবুতরের জন্য রসুন একটি অনেক ভালো উপাদান যার মাধ্যমে কবুতরের অনেক রোগ নিরাময় করা যায়। কবুতরকে দুই ভাবে রসুন খাওয়া যায় এমন প্রথম যে পদ্ধতি সেটা হল একটি রসুন নিয়ে তার খোসা ছিলে ফেলুন তার পর রসুনটা থেতলে নিন বা বেটে নিন।
তারপর রসুন বাটা গুলো একটি চা চমচ হলে এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে দিন। মিশানো হয়ে গেলে পানি গুলো ছেকে নিন তার পর কবুতরের পানি খাবার পাত্রে পানি গুলো দিয়ে দিন। দ্বিতীয় পদ্ধতিটি হলো রসুন ছিলে একটা রসুননের কোয়া থেকে একটি রসুন নিয়ে চার ভাগ করে কবুতর কে খায়য়ে দিন। এইভাবে কবুতরকে এক মাসে ৪-৫ বার খাওয়া তে পারেন।
কোন জাতের কবুতর পালন লাভজনক
উৎপাদন থেকে শুরু করে খাওয়ার জন্য সিলভার কি ও হোয়াইট কি এসব ধরনের কবুতরের জাত উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে বেশি ভালো। আর যদি আপনি মনে করেন যে কবুতর উড়ানোর জন্য কবুতর কিনবেন তাহলে আপনি গিরিবাজ বা কমলা কবুতরের জাত কিনতে পারেন। তাছাড়াও সিরাজ জাত ও নিতে পারেন সিরাজ কবুতর গুলো একটু বেশি বড় হয়।
ফেনসি কবুতর পালন করে আমরা অধিক পরিমানে লাভ পেতে পারি। অন্যদিকে দেশি কবুতর পালন করতে গেলে দেশি কবুতর অনেক পরিমানে খাবার খেয়ে থাকে যে ক্ষেত্রে আমাদের লাভ কম হয়। এইসব তুলনায় ফেনসি কবুতর পালন করতে গেলে বেশি খাবার লাগে না। অন্য দিকে বলা যায় ফেনসি কবুতর খাবার বেশি খেলেও ফেনসি কবুতরের
বাচ্চার দামও অনেক সে দিক থেকে ফেনসি কবুতর চাষ করা বেশি ভালো। এসব কবুতর ছাড়াও বিদেশি অনেক ধরনের কবুতর আছে সে গুলো হলো- ময়রপঙ্খী, গোলা, লহরী, জ্যাকোবিন, টাম্বলার, চন্দন, লোটান ও মুকি। একটা জিনিস আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে কবুতর লালন পালন করার সময় কবুতরের ঘরের আশেপাশ বা কবুতরের ঘরে
পানি জমতে দেওয়া যাবে না পানি ফেলা যাবে না। আর কবুতরের ঘরের মেঝেতে মল বা কবুতরের গু সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রাখতে হবে। তাহলে কবুতরকে ঠান্ডা লাগবে না তখন কবুতর গুলো ভালো থাকবে এবং তখন কবুতর গুলো বিক্রির জন্য লাভজনক হবে।
কবুতর কত মাস বয়সে ডিম দেয়
জঙ্গলি ধরনের কবুতরগুলো প্রায় পাঁচ বছর মতন বাঁচতে পারে। আর অন্যদিকে যেগুলো দেসি কবুতর সেগুলো প্রায় ১০-১৫ বছর বয়স পর্যন্ত বেঁচে থাকার সম্ভবনা থাকে। অন্যদিকে বলা যায় একটি কবুতর ডিম দেওয়া নির্ভর করে তার জাতের উপর। একটি কবুতর ডিম দেয় তার বাচ্চা ছয় মাসের মত হয়ে গেলে তখন সে কবুতর ডিম দিয়ে থাকে।
অনাদিক বলা যাই স্ত্রী কবুতরের বয়স ৫-৬ মাস হলে ডিম দিয়ে থাকে। বলা যায় গড়ে প্রতি এক বছরে দুইবার করে ডিম দেয় কবুতরে। আবার বলা যায় কিছু কিছু কবুতর আছে যেগুলো ৩ থেকে ৪ মাসে ডিম দিয়ে থাকে। এই ৩-৪ মাসের ডিম দেওয়া কবুতর গুলো প্রথম কয়েক বার ডিম থেকে বাচ্চা ভালো তুলবে। কিন্তু পরে যখন বাচ্চা তুলবে তখন
কোন বার একটা বাচ্চা তুলবে আবার কোন বার বাচ্চা গুলো একটু দুর্বল হবে। আবার কোন বার ডিম গুলো একটা ভালো হবে এসব কবুতরগুলোর বাচ্চাগুলো বেশি ক্রিটিকালি হয়ে থাকে। আর যে কবুতরগুলো ছয় মাস পরে ডিম দেয় দিয়ে বাচ্চা তুলে সে কবুতরগুলোর বাচ্চা অনেক ভালো হয়। এবং এই কবুতরগুলো দুর্বলতা ভাব থাকে না।
গিরিবাজ কবুতর চেনার উপায়
আমাদের দেশে অনেকে কবুতর পালন করে থাকে। অনেকে কবুতর পালন করে ঠিকই কিন্তু কোন কবুতর পালন করছে তার নাম জানে না। চলুন নিচে জেনে নেই গিরিবাজ কবুতর চেনার উপায়গুলো-
- গিরিবাজ কবুতরের চিনতে হলে কবুতরের চোখের মনের দিকে তাকিয়ে দেখতে হবে যে চোখের মনি টি ছোট বা একটু বড় আছে কিনা।
- গিরিবাজ কবুতরের লেজের সমান পাখনা ও লেজের থেকে কিছুটা খাটো হয়ে থাকে।
- গিরিবাজ কবুতরের চোখের দিকে দূর থেকে তাকালে দেখতে পাওয়া যায় যে কবুতরের চোখের ভেতরে পানি ভাসছে।
- গিরিবাজ কবুতরগুলোর পায়ের পাখা বড় হওয়ার কারণে দেখতে পাওয়া যায় যে পায়ের রান পর্যন্ত পাখা দিয়ে ঢাকা থকে।
- গিরিবাজ কবুতরগুলোর সব সময় বুক উঁচু হয়ে থাকে।
- গিরিবাজ কবুতরের চোখে কালো গোল বর্ডারের মত দেখা যায়।
- গিরিবাজ কবুতরকে আকাশে উড়ালে আকাশ থেকে নেওয়ার সময় ১৫ ২০ ফিট উপর থেকে তিন চারবার ডিগবাজি মারে।
- এই গিরিবাজ কবুতর আকাশে একবার উড়াল দিলে অনেকক্ষণ ধরে আকাশে অবস্থান করে থাকে।
- গিরবাজ কবুতরগুলোর গলা নাড়াচাড়া করলে দেখা যায় যে গলা অনেক কম স্প্রিং করে।
শেষ কথা
আপনাদের সকলের কাছে যদি আমার পোষ্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে পোষ্টটি আপনাদের বন্ধু-বান্ধবী সকলের মাঝে শেয়ার করে দিন। আর নিয়মিত আমার কাছে থেকে পোষ্ট পাওয়ার জন্য আমার ওয়েবসােইটটি ফলো করে রাখুন। নিয়মিত নতুন নতুন আপডেট পেতে ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। পোষ্টটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url