কি খাওয়ালে কবুতর তাড়াতাড়ি ডিম দেয়
কি খাওয়ালে কবুতর তাড়াতাড়ি ডিম দেয় এবং কবুতরের জাত চেনার উপায় গুলো কি কি এসব ধরনের তথ্য জানতে হলে আপনি আমাদের সাথেই থাকুন। আপনি যদি এই পোষ্ট টি পড়েন তাহলে আপনি কবুতর সম্পর্কে সকল তথ্য গুলো বুজতে পারবেন।
আপনি জন্য এই পোষ্টের নিচে কবুতর সম্পর্কে আরো কিছু পয়েন্ট যোগ করা হয়েছে। সে পয়েন্ট গুলো কোন কবুতর বেশি আকাশে উড়ে ও কোন জাতের কবুতর বেশি বাচ্চা দেয় কবুতরের এই বিষয় গুলো আপনি যদি জানতে চান। সেক্ষেত্রে আপনি পোষ্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। পোষ্টের সব পয়েন্ট গুলো পড়লে কবুতরের সকল বিষয় সম্পর্কে বুঝতে পারবেন।
ভূমিকা
কবুতর হলো এক ধরণের পাখি যা সারা বিশ্বে বিভিন্ন জাতে পাওয়া যায়। কবুতর পালন একটি প্রাচীন ও জনপ্রিয় শখ। কবুতর শান্তির প্রতীক হিসেবে বিখ্যাত। কবুতর সংবাদ বাহক হিসেবেও ব্যবহৃত হয়েছে। কবুতর মানুষের সঙ্গী হিসেবে বিশেষ ভালোবাসা পেয়েছে। কবুতর মানুষের জীবনে অনেক ভূমিকা রাখে।
আরও পড়ুনঃ শীতের জন্য কোন ক্রিম সবচেয়ে ভালো
কবুতর পালন মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কবুতর পালন একটি সুন্দর শখ এবং বিনোদনের মাধ্যম। কবুতর পালন একটি লাভজনক ব্যবসা হিসেবেও গণ্য। কবুতরের মাংস ও ডিম মানুষের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কবুতর পালন মানুষের সামাজিক ও সংস্কৃতিক জীবনের অংশ
হিসেবেও গণ্য। আপনি যদি কবুতর পালন করতে চান, তাহলে আপনাকে কবুতরের জাত, বাসস্থান, খাবার, ব্যবস্থাপনা, রোগ ও চিকিৎসা এবং লাভ লস সম্পর্কে জানতে হবে।
কি খাওয়ালে কবুতর তাড়াতাড়ি ডিম দেয়
কবুতর তাড়াতাড়ি ডিম দেয় তা নির্ভর করে কবুতরের খাবার, পরিবেশ, স্বাস্থ্য এবং বয়সের উপর। কিছু খাবার যেমন ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং প্রোটিন যুক্ত খাবার কবুতরের ডিম দেওয়ার জন্য উপকারী হয়। এছাড়াও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার সেরা ব্রিডিং ফলাফলের জন্য তাদের প্রায় ১৮% প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার দেওয়া উচিত। এই ধরনের খাবার হিসাবে আপনি
কবুতরকে ডানা, চাল, ডাল, কাজুবাদাম, কিসমিস, ধান, পালংশাক, গম, মাকই ইত্যাদি খাওয়াতে পারেন। এসব ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার তাদের ডিম দেওয়ার ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য অনেক প্রয়োজন। এটি নিয়মিত ডিম দেওয়ার ক্ষমতা বাড়াবে, শেলের পুরু বাড়াবে এবং ব্রুডি কবুতরের কার্যকারিতা বাড়াবে। কবুতরের ঘরে পর্যাপ্ত আলো, বাতাস, পানি
আরও পড়ুনঃ সামাজিক বনাম কত প্রকার ও কি কি
এবং পরিষ্কার থাকতে হবে। কবুতরের ঘরটি কোনো ধরনের কীটপতঙ্গ, পোকা বা রোগজীবাণু থেকে মুক্ত থাকতে হবে। কবুতরের ঘরটি নিরাপদ এবং শান্ত থাকতে হবে যাতে কবুতর কোনো ভয় বা চাপ না অনুভব করে। কবুতরের স্বাস্থ্যও ডিম দেওয়ার জন্য প্রভাবশালী। কবুতরদের স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে ধান্যের মতো অন্যান্য স্বাস্থ্যকর খাবার দেওয়া প্রয়োজন।
কবুতর যদি কোনো রোগ বা সমস্যা থাকে তবে তারা ডিম দেওয়া বন্ধ করে দেয়। কবুতরের রোগ এবং চিকিৎসার বিষয়ে আপনি কোনো প্রশিক্ষিত ডাক্তার বা কবুতর পালন কারীর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। কবুতরের বয়সও ডিম দেওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কবুতর সাধারণত ৫ মাস থেকে ৬ মাস পর পর ডিম দেয়।
কবুতর যদি খুব ছোট বা খুব বড় হয় তবে তারা ডিম দেয় না। কবুতরের বয়স নির্ণয় করার জন্য আপনি কবুতরের চোখ, চোখের চারপাশের রং, নক, পা, পাখা ইত্যাদি দেখতে পারেন। এছাড়াও, কবুতরদের একটি শান্ত মনোভাব এবং আরামদায়ক তাপমাত্রা প্রদান করা প্রয়োজন। এইসব পরিবেশ তৈরি করে দিলে কবুতর তাড়াতাড়ি ডিম দেবে।
কোন কবুতর বেশি আকাশে উড়ে
কবুতরের উড়ানের ক্ষমতা অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে, যেমন জাত, বয়স, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, খাদ্য, প্রশিক্ষণ ইত্যাদি। তবে, কিছু কবুতরের জাত হাইফ্লায়ার কবুতর হিসেবে পরিচিত, যারা অন্যান্য কবুতরের চেয়ে বেশি সময় ও উচ্চতায় উড়তে পারে। কিছু উল্লেখযোগ্য হাইফ্লায়ার কবুতরের জাত হলো গিরিবাজ, টিপলার, রোলার, ডোন, কালডম, শার্টিন, সাটিনেট ইত্যাদি।
এরা আকাশে উড়ে অনেক দূর যেতে পারে এবং অনেক সময় পর নিজের বাসস্থানে ফিরে আসতে পারে। এই হাইফ্লায়ার কবুতর গুলো চেনার জন্য কিছু বৈশিষ্ট্য হলো ছোট ও সুদৃঢ় শরীর, লম্বা ও সরু গলা, সুদৃঢ় ও সমতল পাখা, সংকুচিত ও সুদৃঢ় পায়, সমান ও সুষম পরিমাণের পাখা ও লেজ। এসব কবুতরগুলোর মধ্যে কিছু কিছু কবুতর বাংলদেশে পাওয়া যায় আর কিছু কিছু
আরও পড়ুনঃ কবুতরকে রসুন খাওয়ালে কি হয়
পাকিস্তান, ভারত, ইরান, তুরস্ক ইত্যাদি দেশে এরা খুব জনপ্রিয়। এসব কবুতর গুলো সাধারণত সাদা, কালো, লাল, নীল ইত্যাদি রঙের হয়ে থাকে। এসব কবুতর অনেক সুন্দর দেখতে এবং অনেক বেশি দামে বিক্রি হয়। আপনি যদি আপনার কবুতরকে বেশি উড়ানোর জন্য প্রশিক্ষণ দিতে চান, তবে আপনাকে কিছু টিপস মেনে চলতে হবে। যেমন উপযুক্ত খাদ্য ও পানি দেওয়া
নিয়মিত ও সময়মত উড়ানোর অভ্যাস করানো, কবুতরের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ নিয়ে যত্ন নেওয়া, কবুতরের উড়ানের সময় ও দিক নির্ধারণ করা ইত্যাদি। গিরিবাজ কবুতর এই জাতের কবুতর উচ্চতা অনুকূল হওয়ার পাশাপাশি অনেক দ্রুত উড়তে পারে। এরা আকাশে উড়ে ও অনেক খুন পরে নিজের বাসস্থানে ফিরে আসতে পারে। এরা বাংলাদেশে খুব জনপ্রিয় এবং অনেক রঙের হয়ে থাকে।
কবুতরের জাত চেনার উপায়
কবুতরের জাত চেনার উপায় বিভিন্ন হতে পারে, কিন্তু সাধারণত কবুতরের চোখ, গলা, পাখা, পা, রং ও আকৃতি দেখে জাত চেনা যায়। কবুতরের জাতের উপর নির্ভর করে এগুলোর মধ্যে কিছু বৈশিষ্ট্য আলাদা হতে পারে। গিরিবাজ কবুতর এই জাতের কবুতর প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য উত্থাপিত হয়। যেমন, গিরিবাজ কবুতরের চোখের মনি সেকেন্ডে
সেকেন্ডে ছোট ও বড় হয়, পাখা লেজের সমান বা লেজের থেকে অল্প খাটো হয়, পা সংকুচিত ও সুদৃঢ় হয় ইত্যাদি। এই জাতের কবুতর অনেক সময় ধরে আকাসে উড়তে পারে এবং আকাশে ডিকবাজী দেয়। চোখ দেখে চেনা গিরিবাজ জাতের কবুতর চেনার আসল উপায় হলো তার চোখ। চোখই বলেদেবে সে কতটুকু ব্লাড লাইনের গিরিবাজ।
পালন পদ্ধতি দেখে চেনা এই জাতের কবুতর পালন পদ্ধতি দেশীয় কবুতরের মত হলেও এর খাওয়া ও উড়ার ব্যাপারে বেশি যত্নশীল হতে হয়। কবুতরের জাত চেনার আরও কিছু উপায় হলো কবুতরের উড়ানের ক্ষমতা, স্বভাব, আকার, রং, চোখের রং, পাখার রং, পায়ের রং, পায়ের আকৃতি, পায়ের লম্বা,
পায়ের চুল, পায়ের রান, পায়ের আঙুল, পায়ের নখ, পায়ের মাংস ও পায়ের চামড়া ইত্যাদি দেখে কবুতরের জাত বোঝা যায়। আবার বিভিন্ন ধরনের কবুতর ক্রয় বিক্রয় দামের উপর জাত নির্ণয় করা হয়। এইসব তথ্যগুলো মাধ্যমে আপনি কবুতরের জাত চেনতে পারবেন।
কোন জাতের কবুতর বেশি বাচ্চা দেয়
কোন জাতের কবুতর বেশি বাচ্চা দেয় তা নির্ভর করে কবুতরের শরীরের কাঠামো, পরিবেশ, খাদ্য এবং প্রজনন ক্ষমতার উপর। পৃথিবীতে প্রায় ২০০ জাতের কবুতর রয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশে প্রায় ৩০ জাতের কবুতর পাওয়া যায়। কবুতর এক প্রকার পাখি যা বিভিন্ন রঙের হতে পারে। এদের উচ্চতা প্রায় ১২ ইঞ্চি থেকে ২৮ ইঞ্চি পর্যন্ত হতে পারে।
এদের সাধারণত দুটি পাখ বা পাখা থাকে এবং তাদের পাখা দিয়ে উড়তে পারে। কবুতর একটি বিশাল পরিবার গঠন করতে পারে। কবুতর একটি গৃহপালিত পাখি হিসাবে পরিচিত এবং এর মাংস মানুষের খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। প্রাচীন কালে কবুতরের মাধ্যমে চিঠি আদান-প্রদান করা হত। কবুতর ওড়ানোর প্রতিযোগিতা প্রাচীন কাল থেকে অদ্যাবধি প্রচলিত আছে।
তবে, একটি জাত যা বেশি ডিম ও বাচ্চা দেয় তা হলো গিরিবাজ কবুতর। এই কবুতরের মধ্যে অনেক জাত আছে যারা মূলত বেশি স্ট্রং হয়। এছাড়া তারা অনেক বেশি এনার্জি ফুল হয়ে থাকে। সেজন্য তারা বেশি বেশি ডিম বাচ্চা করতে পারে। মূলত এই জাতের কবুতর তাদের বাচ্চা ছোট থাকা অবস্থায় তারা আবার ডিম দিয়ে থাকে।
এরা সাধারণত বেশি উড়তে পারে তাই বিভিন্ন জায়গা থেকে পুষ্টিকর খাদ্য শস্য এনে তাদের বাচ্চাদের কে খাওয়ায়। এতে করে বাচ্চা খুব তাড়াতাড়ি বড় হয়। এদিকে আবার ওই বাচ্চাগুলো বড় হয়ে ডিম থেকে আবার বাচ্চা তুলে থাকে আর এই কবুতর গুলো বছরে ১২ জোড়া বাচ্চা দিয়ে থাকে।
শেষ কথা
আপনাদের সকলের কাছে যদি আমার পোষ্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে পোষ্টটি আপনাদের বন্ধু-বান্ধবী সকলের মাঝে শেয়ার করে দিন। আর নিয়মিত আমার কাছে থেকে পোষ্ট পাওয়ার জন্য আমার ওয়েবসােইটটি ফলো করে রাখুন। নিয়মিত নতুন নতুন আপডেট পেতে ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। পোষ্টটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url