মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম
মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম এবং মাথা যন্ত্রণা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জেনে নি। আপনি যদি মাথা ব্যাথা কমানো ঔষুধ গুলো কি কি এসব সম্পর্কে। জানতে চাইলে আপনি আমাদের সাথেই থাকুন তাহলে আপনি সব বুজতে পারবেন।
অনেকেরই বেশির ভাগ সময় মাথা ব্যাথা হয়ে থাকে। কোনো মানুষে যদি বেশি চিন্তাভাবনা ও দুশ্চিন্তা করে সে ক্ষেত্রে তখন তার মাথা ব্যাথা করে থাকে। এই পোষ্টটির নিচে মাথা ব্যাথা কোন রোগের লক্ষণ এই রোগ সম্পর্কে কিছু পয়েন্ট নিচে যোগ করা হয়েছে। আপনারা যদি পয়েন্ট গুলো প্রথম থেকে শেষ পর্য মনোযো দিয়ে পড়েন তাহলে আপনি সব বুঝতে পারবেন।
ভূমিকা
বর্তমান সময়ে মাথা ব্যাথা অনেক ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। বেশি বেশি চিন্তাভাবনা ও দুশ্চিন্তা করলে মাথা ব্যাথা হয়ে থাকে। ল্যাপটপ, মোবাইল ও কম্পিউটার এইসব যন্ত্রের সামনে বেশিক্ষন ধরে বসে থাকলে মাথা ব্যাথা হয়। শীতকালে ঠান্ডা লাগলে মাথা ব্যাথা হয়ে থাকে এবং হটাৎ করে বৃষ্টির পানিতে ভিজলে অনেকেরই মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে থাকে। বেশি জোরে গান বাজনা শুনলে মাথা ব্যাথা হয়ে থাকে।
মাথা ব্যাথা কোন রোগের লক্ষণ
মাথা ব্যাথা করা মাইগ্রেন রোগের লক্ষণ এই রোগটি বেশি দেখা যায় চিন্তাভাবনা ও দুশ্চিন্তা করলে। এই রোগটি যখন মানুষের শরিরে মাথাতে ব্যাথাটা শুরু হয় তখন মাথার যেকোনো পাশ দিয়ে তীব্র থেকে মাঝারি ধরনের ব্যাথা সৃষ্টি হয়। মাইগ্রেন রোগের ফলে যখন মাথা ব্যাথা প্রচন্ড বেড়ে যায় তখন বেশির ভাগ সময় বমি বমি ভাবও লাগে।
আরও পড়ুনঃ গ্রাফিক্সের জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো
এই সব ছাড়াও আরো অনেক লক্ষণ আছে এই রোগের । সে লক্ষণ গুলো হলো মনোযোগহীনতা, শরিরে ঘাম হওয়া, পেট ব্যাথা করা, বেশি ঠান্ডা আবার বেশি গরম অনুভব করা এবং ডায়রিয়া হয়ে থাকে এই রোগটি হলে। আর এই সব লক্ষণের মধ্যে যদি আপনার শরিরে এসব লক্ষণ দেখা দেয় সেক্ষেত্রে আপনি দেরি না করে ডাক্তারের কাছে জরুরী পারামর্শ নিবেন।
মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম
মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম গুলো হলো-
আরও পড়ুনঃ ফেসবুক কে আবিষ্কার করেন
- টাফনিল-(Tufnil) 200mg
- এনিলিক-(Anilic)200mg
- আরিন-(Arain)200mg
- লজরিন-(Lograin)200mg
- মিগ্রাটল-(Migratol)200mg
- মিগরেক্স-(Migrex)200mg
- মিনোপা-(Minopa)200mg
- মাইগান-(Mygan)200mg
- নামিটোল-(Namitol)200mg
- টলিফ-(Tolfi)200mg
- টলমিক-(Tolmic)200mg
জ্বর ও মাথা ব্যাথা হলে করণীয়
শীত কালে অনেকেরই বেশির ভাগ সময় মাথা ব্যাথা হয়ে থাকে। এই জ্বর আর মাথা ব্যাথা থেকে বাঁচতে করনীয় গুলো হলো-
- পুদিনা পাতা কিছুক্ষন ভিজিয়ে রাখার পর পুদিনা পাতাকে বেটে যেখানে যেখানে ব্যাথা ওইখানে লাগাতে হবে।
- আদা ভালো করে পরিষ্কার করে পিচ পিচ করে কাটতে হবে তার পর মিনিমাম ৫ থেকে ৬ পিচ পর্যন্ত খেতে হবে।
- লবঙ্গ গরম করে ১ মিনিট ধরে ঘ্রাণ নিতে হবে।
- আপেল খাওয়ার সময় আপেলকে কেটে ফালটা করে লবন ছিটিয়ে খেতে হবে তাহলে মাথা ব্যাথা চলে যাবে।
- চায়ে আদার সাথে সাথে কীছু লবঙ্গ মিশিয়ে নিতে হবে তাহলে মাথা ব্যাথা আর জ্বর ভালো হয়ে যায়।
- জ্বর ও মাথা ব্যাথা হলে শরিরের অনেক শক্তি কমে যায় এই শক্তিকে পুনরাই তৈরি করতে ভালো ভিটামিন যুক্ত খাবার খেতে হবে।
মাথা যন্ত্রণা কমানোর ঘরোয়া উপায়
বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে মাথা যন্ত্রণা দুর করার জন্য কপালে বরফ দিয়ে কয়েক মিনিট ঘুসতে পারেন। মাথা যন্ত্রণার সময় বরফের টুকরা গুলো একটি ছোট কাপড় অথবা তয়লা দিয়ে বরফগুলো কে মোরিয়ে নিয়ে বা বরফ মোরানো ব্যাগ দিয়ে মাথার কমালে আসতে আসতে ঘুসতে অথবা সেঁক দিতে হবে কিছুক্ষণ ধরে। মোবাইল বা ল্যাপটপ ও কম্পিউটারের
আরও পড়ুনঃ কোন ফ্রিজ বিদ্যুতৎ সাশ্রয়ী বেশি
সামনে বেশিক্ষণ বসে থাকা যাবে না। মাইগ্রেন রোগের ব্যাথা শুরু হলে প্রচুর পানি খেতে হবে আর মাথাতে ঠান্ডা কাপড় পেচিয়ে রাখতে হবে। বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল ও তর্জনীয় আঙ্গুলের মাঝখানে চাপ দিন ও মাসাজ করুন। প্রতিদিন যে সময়ে ঘুমানো হয় ঠিক সেই সময়ে ঘুমাতে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। স্বাভাবিকের চাইতে বেশি জোরে গান বাজনা শোনা যাবে না।
শেষ কথা
আপনাদের সকলের কাছে যদি আমার পোষ্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে পোষ্টটি আপনাদের বন্ধু-বান্ধবী সকলের মাঝে শেয়ার করে দিন। আর নিয়মিত আমার কাছে থেকে পোষ্ট পাওয়ার জন্য আমার ওয়েবসােইটটি ফলো করে রাখুন। নিয়মিত নতুন নতুন আপডেট পেতে ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। পোষ্টটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url