দাঁতের মাড়িতে ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো কি কি - ক্যান্সার হলে মানুষ কতদিন বাঁচে

দাঁতের মাড়িতে ক্যান্সারের লক্ষণ ও ক্যান্সার হলে মানুষ কতদিন বাঁচে এই সব ধরনের বিভিন্ন তথ্য গুলো পেতে হলে আপনি এই পোষ্টটি পড়ুন। তাহলে আপনি ক্যান্সার সম্পর্কে অনেক তথ্য পাবেন। সে তথ্য গুলো আপনার বুজতে সুবিধা হবে।
দাঁতের মাড়িতে ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো কি কি
এই পোষ্টের নিচের দিকে আপনার জন্য ক্যান্সার সম্পর্কে নতুন কিছু পয়েন্ট যোগ করা হয়েছে। আশা করি আপনি যদি সে পয়েন্ট গুলো প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো ভাবে পড়েন। তাহলে আপনি ক্যান্সার সম্পর্কে অজানা তথ্য গুলো বুজতে পারবেন।

ভুমিকা

ক্যান্সার হলো একধরণের রোগ, যেখানে দেহের কোষগুলি অনিয়ন্ত্রিত ভাবে বিভাজিত হয় এবং আশেপাশের টিস্যু ও অঙ্গগুলির ক্ষতি করে। ক্যান্সার কোষগুলি রক্ত বা লিম্ফ নালীর মাধ্যমে দেহের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে যেতে পারে এবং মেটাস্টাসিস বলা হয় এই প্রক্রিয়াকে। ক্যান্সার বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমন ধূমপান, বয়স,


জেনেটিক ফ্যাক্টর, পরিবেশ, খাদ্য ও জীবনযাপনের ধারা ইত্যাদি। ক্যান্সার প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে চিকিৎসার সম্ভাবনা বেশি থাকে। ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, যেমন কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি, সার্জারি, ইমিউনোথেরাপি ইত্যাদি। ক্যান্সার বিশ্বের দ্বিতীয় মৃত্যুর কারণ হিসেবে গণ্য হয়।

দাঁতের মাড়িতে ক্যান্সারের লক্ষণ

বাংলাদেশের ক্যান্সার রোগীদের মাঝে প্রতিবছর ৮.৯% রোগী মুখগহ্বরের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন এবং ৭.৯% রোগী এই রোগে মৃত্যুবরণ করে থাকে। দাঁতের মাড়িতে ক্যান্সার হলো মুখের ভিতরের আস্তরণের একটি ধরণের ক্যান্সার, যা মাড়ির কোষগুলির অনিয়মিত বৃদ্ধির ফলে হয়। এই রোগের কিছু সাধারণ লক্ষণ হলো-

  • মুখের ভিতরে লাল বা সাদা রঙের ফোলা বা ঘা যা দীর্ঘদিন ধরে ঠিক হয় না।
  • দাঁতের মাড়ি বা দাঁতের সংযোগস্থলে ক্ষত বা রক্তপাত হওয়া।
  • দাঁত নড়বড় হওয়া বা পড়ে যাওয়া।
  • মুখে দুর্গন্ধ বা থুতুর বেশি হওয়া।
  • মুখ, কান, গলা বা চিবুকে ব্যথা বা অসুবিধা অনুভব করা।
  • খাবার গ্রহণে বা কথা বলতে সমস্যা হওয়া।
  • মুখের ভিতরে ছাল ওঠা মাড়ির ক্যান্সারের একটি লক্ষণ হতে পারে।
  • অত্যাধিক ও জন কমে যাওয়া ক্যান্সারের অত্যাধিক ও জন কমে যাওয়া হতে পারে।

এছাড়াও দাঁতের মাড়িতে ক্যান্সারের কারণ হতে পারে তামাক, অ্যালকোহল, সূর্যের রশ্মি, বংশগত ইতিহাস, ভিটামিন এ ও সি এর ঘাটতি, বা হিউম্যান পাপিলোমা ভাইরাসের সংক্রমণ। দাঁতের মাড়িতে ক্যান্সারের চিকিৎসা হতে পারে সার্জারি, রেডিওথেরাপি, বা কেমোথেরাপির মাধ্যমে।

ক্যান্সারের প্রতিরোধের জন্য তামাক, অ্যালকোহল, এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়ানো, মুখের নিয়মিত পরীক্ষা করানো, এবং ভিটামিন এ ও সি যুক্ত খাবার গ্রহণ করা উচিত। যদি আপনি কোনো লক্ষণ অনুভব করেন তাহলে অবিলম্বে একজন ডেন্টিস্ট বা অকুশল ডাক্তারের কাছে যান।

জরায়ু ক্যান্সার সমস্যা হলে কি কি লক্ষণ দেখা দেয়

জরায়ু ক্যান্সার হলো একটি গুরুতর রোগ এই রোগ আপনার শরিরে হলে শীঘ্রই চিকিৎসা না করা হয় তাহলে মৃত্যুর কারণ হতে পারে। জরায়ু ক্যান্সারের কিছু সাধারণ লক্ষণ গুলো নিচে দেওয়া হলো

  • যাদের অনিয়মিত মাসিক হয় বা অতিরিক্ত রক্তপাত হয় এবং যে সময়ে দুই বার মাসিক হয়। সে গুলো মাসিকের মধ্যে বেশি রক্তপাত হয়ে থাকে।
  • যৌন মিলনের করার পর যোনি পথে রক্ত বেড় হওয়া।
  • অতিরিক্ত মেয়েদের সাদা স্রাব হওয়া, দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব বা চাল ধুয়া সাদা পানির মতো স্রাব অথবা কোনো সময় রক্ত মিশ্রিত স্রাব যাওয়া।
  • ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া এবং প্রস্রাবের সাথে রক্ত বের হওয়া।
  • মলদ্বারে ব্যথা বা রক্ত পড়া।
  • পা ফুলে যাওয়া।
  • শরীরের ওজন অনেকাংশে কমে যেতে পারে।
  • প্রসাব নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা।

যদি আপনি এই লক্ষণগুলির মধ্যে কোনো একটি লক্ষন অনুভব করেন। তাহলে আপনি দেরি না করে একজন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। জরায়ু ক্যান্সারের কারণ হতে পারে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস এইচপিভি এবং অন্যান্য বিভিন্ন কারনে। জরায়ু ক্যান্সারের চিকিৎসা হতে পারে


অস্ত্রোপচার, রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপি বা হরমোন থেরাপি। চিকিৎসার ধরণ নির্ভর করে রোগের পর্যায়, রোগীর বয়স, স্বাস্থ্য অবস্থা এবং রোগীর পছন্দের উপর। এই লক্ষণগুলি সবসময় ক্যান্সারের প্রমাণ হতে পারে না। আরো জানতে চাইলে আপনি নিচের পয়েন্ট গুলো পড়তে পাড়েন।

ক্যান্সার হলে মানুষ কতদিন বাঁচে

ক্যান্সার একটি মারাত্মক রোগ, এমনটা অনেক মানুষই মনে করেন। কিন্তু আসলে সব ধরণের ক্যান্সার মানুষের শরিরে মারাত্নক হয় না। তবে বেশিরভাগ ক্যান্সারই হয়ে থাকে মারাত্নক। সে কারনে কারো শরিরে ক্যান্সার রোগ ধরা পরলে আত্বীয় স্বজন অনেক ধরনের মানুষ বেশ চিন্তিত হয়ে পড়ে। ক্যান্সারের ধরন, ক্যান্সার হবার স্থান, প্যাথলজিক্যাল গ্রেড,

ক্লিনিক্যাল স্ট্যাজ, চিকিৎসার ধরন ইত্যাদির উপর নির্ভর করে বলা যায় রোগীর পরিনতি কি হতে পারে। তবে কত দিন বাঁচবে এমন কথা কোন ডাক্তার বলেন না। তবে আমি গ্রামের আড্ডায় অনেক মুখরোচক গল্প শুনেছি এমন আমার এক খালাতো ভাইয়ের ক্যান্সার হয়েছিল। ডাক্তার বলে দিয়েছিলো রোগী আর মাত্র ২৮ দিন বাঁচবে যা খাওয়ার তাই খাওয়ায়ে দিন।

কিন্তু রাখে আল্লাহ, মারে কে? রোগী কোন চিকিৎসা ছাড়াই ৫ বছর ধরে বেঁচে আছে। শুনতে চমকপ্রদ মনে হলেও এমন আলাপ আমি বিশ্বাস করি না। তবে এমন আলাপই অনেকে শুনতে পছন্দ করে। ক্যান্সার হলে রোগী কেনো মারা যায়? এর উত্তরে বলা যায় ক্যান্সার হলো শরীরের একটি পরগাছার মতো। শরীরের একটি সাভাবিক কোষ কোন কারনে কোনভাবে

পরিবর্তন হয়। আপনি যদি ক্যান্সার সম্পর্কে আরও জানতে চান তবে আপনি নিচের পয়েন্ট গুলো পড়ুন। ক্যান্সারের প্রতিষ্ঠানিক বাঁচবার হার নির্দিষ্ট ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত মানুষদের শতাংশ কতদিন বেঁচে থাকে তা বোঝায় ক্যান্সারের পরিসংখ্যান সাধারণত পাঁচ বছরের সর্বসাধারণ বাঁচবার হার ব্যবহার করে উদাহরণস্বরূপ, মূত্রপিণ্ডের ক্যান্সারের জন্য সর্বসাধারণ

পাঁচ বছরের বাঁচবার হার ৭৭%।এর অর্থ হলো, মূত্রপিণ্ডের ক্যান্সারে আক্রান্ত সমস্ত মানুষের মধ্যে, প্রতি ১০০ জনের ৭৭ জন নির্ধারণ করা পাঁচ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে। ক্যান্সার হলে মানুষ কতদিন বাঁচে তা নির্ভর করে ক্যান্সারের ধরন, পর্যায়, চিকিৎসা এবং রোগীর সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপর। কিছু ক্যান্সার যদি প্রাথমিক সনাক্তকরণ এবং উপযুক্ত চিকিৎসার মাধ্যমে

মুক্তি পাওয়া যায়। তবে অন্যগুলি আরও আক্রমণাত্মক এবং রোগ গুলো চিকিৎসা করা খুব কঠিন হতে পারে। ক্যান্সারের মৃত্যুর লক্ষণ হিসেবে রোগীর ওজন হ্রাস, ক্লান্তি, ব্যথা, শ্বাসযন্ত্রের পরিবর্তন, ত্বকের পরিবর্তন, মানসিক অবস্থার পরিবর্তন ইত্যাদি হতে পারে। ক্যান্সার হলে রোগীর পরিনতি সম্পর্কে আরও জানতে চাইলে একজন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।

এই হারগুলি ক্যান্সারের প্রকৃতি, পর্যায় এবং চিকিৎসার ধরনের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন হতে পারে। তাই অনেকের কাছে এই প্রশ্ন সাধারণ হলেও এর উত্তর দেওয়া অনেক কঠিন। একজন চিকিৎসক একজন রোগীর জন্য আরও নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান দিতে পারেন। সে জন্য আপনার আরো কিছু জানতে হলে ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত।

ব্লাড ক্যান্সার হলে শরিরে কি কি সমস্যা দেখা দেয়

ব্লাড ক্যান্সার হলে মানুষের শরীরে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দেখা দেয়। কিছু সাধারণ লক্ষণ হলো নিচে দেওয়া হলো-

  • ব্লাড ক্যান্সারে রক্তকণিকা অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পায়, যা শরীরে অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার কারণে দেখা দেয়।
  • দীর্ঘদিন ধরে জ্বর, ঠান্ডা লাগা বা অন্যান্য ইনফেকশনের লক্ষণ।
  • রক্তস্বল্পতা, যা দুর্বলতা, অক্সিজেন অভাব, হৃদযন্ত্রের বেগ বাড়ানো, চোখের নীল রঙের দাগ, ত্বকের রঙ ফিকে যাওয়া ইত্যাদি কারণে দেখা দেয়।
  • রক্তক্ষরণের সমস্যা, যা শরীরে র‍্যাশ, দাঁতের গোড়া থেকে রক্ত পড়া, প্রসাব-পায়খানা ও কাশির সঙ্গে রক্ত পড়া, মাসিক বেশি হওয়া, অস্বাভাবিক রক্তচাপ ইত্যাদি কারণে দেখা দেয়।
  • অস্থি মজ্জা বা লিম্ফ গ্রন্থিতে ব্যথা বা ফোলা যাওয়া।
  • বুক ধড়ফড়, পায়ে পানি জমে যাওয়া, ফ্যাকাসে হওয়া, খাবারে অরুচি, ওজন কমে যাওয়া ইত্যাদি।
  • ব্লাড ক্যান্সারে সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে, যা অস্বাভাবিক সময়ে বারবার সংক্রমণ হওয়ার কারণে দেখা দেয়।
  • ব্লাড ক্যান্সারে হাড়ে ব্যথা অথবা সন্ধিতে ব্যথা হতে পারে।
  • অস্বাভাবিক রক্তকণিকা থেকে ত্বকের চুলকানি হতে পারে, যা সহজেই ক্ষত এবং রক্তপাত হওয়ার কারণে দেখা দেয়।
তবে এই লক্ষণগুলি সবসময় ব্লাড ক্যান্সারের উপস্থিতির প্রমাণ হয় না। এই লক্ষণগুলি অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার ফলেও হতে পারে। ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ রোগের ধরণ, পর্যায় এবং শরীরের অবস্থার উপর নির্ভর করে। যদি আপনি এই লক্ষণগুলির কোনটি দেখেন, তবে একটি ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। তাহলে আপনি ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে পারবেন।

লেখকের শেষ কথা

আপনাদের সকলের কাছে যদি আমার পোষ্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে পোষ্টটি আপনাদের বন্ধু-বান্ধবী সকলের মাঝে শেয়ার করে দিন। আর নিয়মিত আমার কাছে থেকে পোষ্ট পাওয়ার জন্য আমার ওয়েবসােইটটি ফলো করে রাখুন। নিয়মিত নতুন নতুন আপডেট পেতে ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। পোষ্টটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url