বর্তমানে জনসংখ্যার ঘনত্ব কত
বর্তমানে জনসংখ্যার ঘনত্ব কত ও বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কত এই
সব ধরনের বিভিন্ন বিষয় গুলো জানতে হলে এই পোষ্টটি পড়ুন। তাহলে আপনি জনসংখ্যা
সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় গুলো বুজতে পারবেন।
আপনার জন্য এই পোষ্টের নিচের দিকে জনসংখ্যা সম্পর্কে আরো কিছু পয়েন্ট যোগ করা
হয়েছে। আপনি যদি সে পয়েন্ট গুলো প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো করে পড়েন। আশা করি
তাহলে আপনি জনসংখ্যা সংক্রান্ত কিছু অজানা তথ্য গুলো জানতে পারবেন।
ভুমিকা
জনসংখ্যা হলো কোনও নির্দিষ্ট অঞ্চলে বা বাস্তুতন্ত্রে উপস্থিত বসবাসকারী মানুষের
সংখ্যা। এটি একটি নির্দিষ্ট সময়ে পরিমাপ করা হয়। জনসংখ্যার আকার এবং গঠন বোঝার
মাধ্যমে, আমরা একটি দেশের অর্থনীতি, পরিবেশ, এবং
সামাজিক
কাঠামোতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব বোঝতে পারি। আমি আপনাকে একটি বিস্তারিত উত্তর দিতে
পারি যদি আপনি আরও জানতে চান।
আরও পড়ুনঃ
কোন ঋতুতে কোন ফসল ভালো জন্মে থাকে
এটি মানব সমাজের পাশাপাশি আমাদের চারপাশের প্রাকৃতিক জগতকে বোঝার একটি মৌলিক দিক।
যদিও জনসংখ্যা শব্দটি সাধারণত মানুষকে বোঝায়, এটি প্রাণী, অণুজীব এবং উদ্ভিদকেও
অন্তর্ভুক্ত করে, যা বাস্তুবিদ্যা এবং জেনেটিক্সের মতো বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক শাখায়
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বর্তমানে জনসংখ্যার ঘনত্ব কত
বর্তমানে
বাংলাদেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব এখন ১,১১৯ বর্গ কিলোমিটার। যা সারা বিশ্বতে সর্বোচ্চ কিছু জেলা
ও নগর রাষ্ট্র বাদে এই বর্গ মিটার টি। এই ঘনত্ব বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে
বিভিন্ন। সবচেয়ে বেশি ঘনত্ব ঢাকা বিভাগে (২১৫৬ জন প্রতি বর্গ কিলোমিটারে) এবং
সবচেয়ে কম বরিশাল বিভাগে (৬৮৮ জন প্রতি বর্গ কিলোমিটারে)।
আদমশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২ অনুযায়ী, দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমলেও জনসংখ্যার
ঘনত্ব বেড়েছে। ২০১১ সালে যেখানে প্রতি বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বসবাস ছিল ৯৭৬
জন, ২০২২ সালে সেটি বেড়ে উন্নীত হয়েছে ১,১১৯ জনে। সবচেয়ে বেশি ঘনত্ব ঢাকা
বিভাগে ২১৫৬ জন।
প্রতি বর্গ কিলোমিটারে এবং সবচেয়ে কম বরিশাল বিভাগে (৬৮৮ জন প্রতি বর্গ
কিলোমিটারে)। বিশ্বের জনসংখ্যার ঘনত্ব ২০২৪ সালে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৬০.২৯ জন।
বাংলাদেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১,১৬৫ জন।
বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যা কত
বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি মতো। বাংলাদেশ জনসংখ্যান ব্যুরোর
জনশুমারি থেকে ও গৃহগণনা ২০২৪ সালের প্রাথমিক প্রতিবেদনে দেয়া হয়েছে ওই তথ্য
অনুযায়ী জুন, ২০২৪ পর্যন্ত দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লক্ষ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন ছিল।
তবে এই জনসংখ্যার মধ্যে পুরুষের সংখ্যা
প্রায় ৮ কোটি ১৭ লক্ষ ১২ হাজার ৮২৪ জন মতো এবং নারীর সংখ্যা ৮ কোটি ৩৩ লক্ষ ৪৭
হাজার ২০৬ জন ছিল। তবে এই প্রতিবেদনটি চূড়ান্ত নয়, এটি আরও যাচাই-বাছাই এর পর
প্রকাশিত হবে। এছাড়াও বর্তমানে পুরুষের জনসংখ্যার চেয়ে নারীর জনসংখ্যার পরিমানটা
প্রায় অনেক বেশি। প্রায় গত এক দশকে
এই দেশের জনসংখ্যা বেড়ে হয়েছে প্রায় ২ কোটি ১১ লক্ষ ১৪ হাজার ৯১৯ জন মতো। আর এখন
বর্তমানে অন্যান্য দেশের চেয়ে বাংলাদেশের জনসংখ্যার হার প্রায় অনেক গুন বেড়ে
গেছে। তবে জনশুমারিতে দেখে বলা যায় যে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জনসংখ্যা আরো বাড়তে
পারে বলে জানা যায়।
বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কত
রাংলাদেশে ২০২৩ সালে জনসংখ্যার হার প্রায় ১.০৩ শতাংশ ছিলো। তবে এই হার শতাংশ
থেকে একটু বেশি হার অনুসারে বর্তমানে ২০২৪ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির
হার হয়েছে প্রায় ১.২২ শতাংশ। এখন বাংলাদেশের জনসংখ্যা বিশ্বের মধ্যে ১০৫ তম
স্থানে রয়েছে। বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমে আসছে।
কারণ গর্ভহার, শিশুমৃত্যু হার ও গড় আয়ু বাড়ছে। এছাড়াও বর্তমানে বাংলাদেশের
মোট জনসংখ্যা পরিমান দাড়িয়েছে প্রায় ১৬ কোটি ৫১ লক্ষ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন মতো।
বাংলাদেশের জনসংখ্যা হার সামনের দিকে বৃদ্ধি করতে থাকবে, কিন্তু কমতেও থাকবে।
জাতিসংঘের প্রাক্কলন অনুযায়ী, ২০২০ সালে বাংলাদেশের
জনসংখ্যা হার ১.০৪ শতাংশ ছিল। যা ২০৩০ সালে ০.৪৩ শতাংশ এ ও ২০৪০সালে ০.০৯
শতাংশতে কমে যাবে বলে ধরা যায়। এই হারে চললে ২০২০ সালে ১৬৪ মিলিয়ন ছিল
বাংলাদেশের জনসংখ্যা। যা ২০৩০ সালে ২০২ মিলিয়ন এ ও ২০৪০ সালে ১৬৪ মিলিয়ন এ
পৌঁছাবে বলে ধরা যায়।
বাংলাদেশের জনসংখ্যা হার কমার কারণ হলো গর্ভহারের কমতি। যা ২০২০ সালে ২.০৫
শতাংশ ছিল এবং ২০৪০ সালে ১.৬৪ শতাংশ হতে পারে। এছাড়া মৃত্যুহার ও জীবনকালের
বৃদ্ধিও জনসংখ্যা হারে প্রভাব ফেলে থাকে।
বর্তমানে বাংলাদেশের মাথা পিছু আয় কত
বর্তমানে
বাংলাদেশের
মাথাপিছু আয় হচ্ছে ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলার। এটি ২০২১ থেকে ২২ অর্থ বছরের
সাময়িক হিসাব অনুযায়ী গণনা করা হয়েছে। এর আগের অর্থ বছরে মাথাপিছু আয়
হয়েছিলো ২ হাজার ৫৯১ মার্কিন ডলারের মতো। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বিশ্বের
অন্যান্য দেশের চেয়ে কম নয়, বরং অনেক দেশের চেয়ে বেশি। বাংলাদেশের মাথাপিছু
আয়
বৃদ্ধির পেছনে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি,
কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতের উন্নয়ন ও বিদেশী মুদ্রা আয়ের বৃদ্ধি রয়েছে। আর
বিভিন্ন ধরনের গৃহগণনা ও পত্রিকার মাধ্যেমে জানা যায় যে ২০২৩ সালে ও ২০২৪ সালের
অর্থ বছরে এটি গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩২৭ ডলার বেড়েছে। তবে এই তথ্যগুলো
বিভিন্ন সময়ের সাথে পরিবর্তন হতে পারে। আবার বলা যায় বাংলাদেশের মাথা পিছু
আয় ২০২৫ বা ২০২৬ সালের দিকে নির্ভর করবে অনেক কারকের উপর। যেমন, জাতীয় আয়,
জনসংখ্যা, রেমিট্যান্স, বৈদেশিক ব্যবসা, অর্থনৈতিক বৃদ্ধি, বিনিয়োগ, বিভিন্ন
রোগের প্রভাব ইত্যাদি। বাংলাদেশের মাথা পিছু আয় বৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস
হল রেমিট্যান্স, যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করে বাংলাদেশি শ্রমিকরা দেশে
পাঠান। বাংলাদেশের রেমিট্যান্স
গত বছর ২১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। যা আগের বছরের তুলনায় ১৮ শতাংশ বেশি।
এই রেমিট্যান্সের বিশাল অংশ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে আসে, যেমন সৌদি আরব,
কাতার, ওমান, কুয়েত, বাহরাইন, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ইত্যাদি। এছাড়াও
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং অন্যান্য দেশগুলো
থেকেও রেমিট্যান্স আসে।
আরও পড়ুনঃ
দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়
বাংলাদেশের মাথা পিছু আয় বৃদ্ধির আরেকটি উৎস হলো বৈদেশিক ব্যবসা, যা দেশের
আয়ের অনেক অংশ নিয়ে থাকে। বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য হলো পোশাক শিল্প,
যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়। বাংলাদেশ পোশাক শিল্পের মধ্যে
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎপাদক দেশ। গত বছর বাংলাদেশ পোশাক শিল্প থেকে ৩৪
বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করেছে। এছাড়াও
বাংলাদেশ থেকে ফর্মাসিউটিক্যালস, জুতা, কাঠের পণ্য, কাগজ, চা, মাছ, শাকসবজি,
খাদ্য পণ্য, এই জিনিস পত্রও অনেক রপ্তানি করা হচ্ছে বাইরে। এইসব কারণ থেকে
আমাদের দেশে মাথা পিছু আয় বাড়ছে। এবং সর্বশেষ তথ্যে গুলো জানার জন্য আপনার
স্থানীয় অর্থনীতি বিভাগের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। তাহলে আপনি সর্বশেষ তথ্য ও
সঠিক তথ্য গুলো জানতে পারবেন।
শেষ কথা
আপনাদের সকলের কাছে যদি আমার পোষ্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে পোষ্টটি আপনাদের
বন্ধু-বান্ধবী সকলের মাঝে শেয়ার করে দিন। আর নিয়মিত আমার কাছে থেকে পোষ্ট
পাওয়ার জন্য আমার ওয়েবসােইটটি ফলো করে রাখুন। নিয়মিত নতুন নতুন আপডেট পেতে
ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। পোষ্টটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url